দারসুল কুরআন // সুরা আল ইমরান (১০২-১০৮)

দারসুল কুরআন
সুরা আল ইমরান (১০২-১০৮)

#আরবী_ইবারতঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ (১০২)
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا ۚ وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ (১০৩)
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (১০৪)
وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ تَفَرَّقُوا وَاخْتَلَفُوا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَأُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (১০৫)
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ (১০৬)
وَأَمَّا الَّذِينَ ابْيَضَّتْ وُجُوهُهُمْ فَفِي رَحْمَةِ اللَّهِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (১০৭)
تِلْكَ آَيَاتُ اللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ وَمَا اللَّهُ يُرِيدُ ظُلْمًا لِلْعَالَمِينَ (১০৮)

#সরল_বাংলা_অনুবাদঃ

★হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো৷ মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়৷ (৩:১০২)
★তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রুজ্জু মজবুতভাবে আকঁড়ে ধরো এবং দলাদলি করো না৷ আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্মরণ রেখো৷ তোমরা ছিলে পরস্পরের শক্র ৷ তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন৷ ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো৷ তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে৷ আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন ৷ এভাবেই আল্লাহ তাঁর নির্দশনসমূহ তোমাদের সামনে সুস্পষ্ট করে তুলেন ৷ হয়তো এই নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কল্যাণের সোজা সরল পথ দেখতে পাবে৷(৩:১০৩)
★তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যি থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে আহবান জানাবে, ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে৷ যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে ৷ (৩:১০৪)
★"হে মুসলমানরা! তোমরা তাদের মত হয়ো না,যারা তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করেছে, তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।" (৩:১০৫)
★"কিয়ামতের দিন কারো কারো মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে,কারো কারো মুখ কালো বর্ণের হবে। যাদের মুখ কালো বর্ণের হবে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে ঈমানদার হবার পর কেন তোমরা কাফের হয়েছিলে? অতএব অবিশ্বাসের কারণে তোমরা শাস্তি আস্বাদ কর।" (৩:১০৬)
★"কিন্তু যাদের মুখ উজ্জল হবে, তারা আল্লাহর করুণা লাভ করবে এবং তারা সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।" (৩:১০৭)
★"এগুলো আল্লাহর নিদর্শন,যা আমি তোমার কাছে সত্যতা সহকারে বর্ণনা করছি। আল্লাহ বিশ্ব জগতের কারো ওপর জুলুম করতে চান না।" (৩:১০৮)

★সূরা পরিচিতি:-

আলে ইমরান (آل عمران‎) কুরআনের তৃতীয় সূরা
এর আয়াত সংখ্যা ২০০টি 
এর রূকুর সংখ্যা ২০টি। 
সিজদা সংখ্যা নাই। 
আলে ইমরান সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। 
পারার ক্রম ৩ পারা (১-৯১ আয়াত) ও 
                 ৪ পারা (৯২-২০০ আয়াত)। 
এই সুরার পূর্ববর্তী সূরা সূরা বাকারা 
এই সুরার পরবর্তী সূরা →সূরা নিসা

#নামকরনঃ

আলে ইমরান অর্থ ‘ইমরানের বংশধর'। এই সুরার ৩৩ নং আয়াতে إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَىٰ آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ  ) উল্লিখিত (آل عمران) শব্দকে কেন্দ্র করে সুরার নামকরন করা হয়েছে।
এ সূরার আরেক নাম আয-যাহরাহ বা আলোকচ্ছটা। [মুসলিমঃ ৮০৪] 
এছাড়াও এ সূরাকে সূরা তাইবাহ, আল-কানুয, আল-আমান, আল-মুজাদালাহ, আল-ইস্তেগফার, আল-মানিয়াহ ইত্যাদি নাম দেয়া হয়েছে।

#নাযিলের_সময়কালঃ

(মদীনায় অবতীর্ণ) [1]
[1] এটি মাদানী সূরা। এই সূরার সমস্ত আয়াত হিজরতের পর বিভিন্ন সময়ে অবতীর্ণ হয়। সূরার প্রথম অংশগুলো অর্থাৎ, ৮৩ নং আয়াত পর্যন্ত নাজরানের খ্রিষ্টানদের প্রতিনিধি দলের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। এই দল ৯ম হিজরীতে নবী কারীম (সাঃ)-এর নিকট এসেছিল। তারা তাঁর সাথে তাদের খ্রিষ্টীয় আকীদা-বিশ্বাস এবং ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক করেছিল। তাদের প্রতিবাদ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে ‘মুবাহালা’ করার প্রতি আহবানও জানানো হয়েছিল।

এই সুরায় ৪টি ভাষণ সন্নিবেশিত (তাফহীমুল কোরআন)
★প্রথম ভাষণঃ প্রথম থেকে শুরু হয়ে ৩২ নং আয়াত পর্যন্ত (৪র্থ রুকুর ২য় আয়াত), বদরযুদ্ধ কালীন সময়ে।
★দ্বিতীয় ভাষণঃ ৪র্থ রুকুর ৩য় আয়াত থেকে শুরু করে ৬ষ্ঠ রুকুর শেষ পর্যন্ত ৯ম হিজরীতে অবতীর্ণ হয়।
★তৃতীয় ভাষণঃ ৭ম রুকুর শুরু থেকে ১২তম রুকুর শেষ পর্যন্ত। প্রথম ভাষণের সমসাময়িক বলে মনে হয়।
★চতুর্থ ভাষণঃ ১৩তম রুকু থেকে শেষ পর্যন্ত। ওহুদ যুদ্ধের পর।

প্রথম ভাষণটি সূরার প্রথম থেকে শুরু হয়ে ৩২ নং আয়াত পর্যন্ত চলেছে এবং এটি সম্ভবত বদর যুদ্ধের নিকটবর্তী সময়ে নাযিল হয়।

দ্বিতীয় ভাষণটি ৩৩ নং আয়াত থেকে শুরু হয়ে ৬৩ নং আয়াতে গিয়ে শেষ হয়েছে (৬ষ্ঠ রুকুর শেষ পর্যন্ত)। ৯ম হিজরীতে নাজরানের প্রতিনিধি দলের আগমনকালে এটি নাযিল হয়।

তৃতীয় ভাষণটি সপ্তম রুকূ’র শুরু থেকে নিয়ে দ্বাদশ রুকূ’র শেষ অব্দি চলেছে। প্রথম ভাষণের সাথে সাথেই এটি নাযিল হয়।

চতুর্থ ভাষণটি ত্রয়োদশ রুকূ’ থেকে শুরু করে সূরার শেষ পর্যন্ত চলেছে। ওহুদ যুদ্ধের পর এটি নাযিল হয়।

#বিষয়বস্তুঃ

দুটি দলকে সম্বোধন করে বক্তব্য পেশ-
১·    আহলে কিতাব (ইহুদী ও খৃষ্টান)
২·    ঈমানদারগণ
উভয়পক্ষের কাছেই সুরা বাকারায় যে ভাষণ ছিল তা জোরদার করা হয়েছে।
-    প্রথম দল আকীদাগত ভ্রষ্টতা।
-    দ্বিতীয় দল শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা।

#ঐতিহাসিক_পটভূমিঃ

বদরের যুদ্ধের পর মুসলমানদের নিরন্তর ভীতি ও অস্থিরতার মধ্যে বসবাস বদরের যুদ্ধ ছিল ভীমরুলের চাকে ঢিল মারার মতো।
বহুসংখ্যক মুহাজিরের আগমনে মদীনার অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া
মদীনার আশে পাশে ইহুদী গোত্রের শত্রুতা।
বদর যুদ্ধে পরাজয়ের পর কুরাইশদের প্রতিশোধ স্পৃহা ও ওহুদ যুদ্ধ।
ওহুদ যুদ্ধের সময় মুসলমানদের দ্বারা কৃত ভুল সমূহের সংশোধন।

#তাফসীরঃ

★আয়াতঃ ১০২ঃ
ইসলামী জীবনের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো ঈমান ও ভাতৃত্ব মুসলমানদের জাতীয় শক্তির উৎসের প্রথমটি হলো তাকওয়া ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপন|
অনেকে তাকওয়া বলতে বাহ্যিক বেশভুষা মনে করেন। তাকওয়ার সংগে সুরা হাশর-৭, আহযাব-১, মুলক-১২
একবার তাকওয়া সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) তার বুকের দিকে ইশারা দিয়ে ৩বার বললেন ‘তাকওয়া হওলা এখানে’। অর্থাৎ
অন্তরে ভয় থাকলে সব কাজে প্রভাব পড়ে।
এ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন “আমি কি তোমাদের উত্তম লোকদের সম্পর্কে বলব? সাহাবীরা বললেন জি হ্যা বলুন হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)। তিনি বললেন- তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যাদের (আমল) দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়।” (ইবনে মাযাহ, রাবী আসমা বিনতে ইয়াজিদ)
এ গুনের অভাবে একটি সমাজ জাহেলী সমাজের রুপ নিতে পারে।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাকওয়া ও তার মর্যাদাঃ
সুরা হুজুরাত-১৩,হাশর-১৮,সুরা নাহল-১২৮,সুরা নূর-৫২
রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে তাকওয়া ও তার ফলঃ
সুরা আরাফ-৯৬
জামায়াতী জিন্দেগীর ক্ষেত্রে তাকওয়াঃ
তওবা-১১৯,ফাতির-২৮
জিহাদের ক্ষেত্রে তাকওয়াঃ
আল ইমরান-২০০,মায়েদা-৩৫
আত্নীয়-স্বজনের ব্যাপারে তাকওয়াঃ
নিসা-১
পরকালের ব্যাপারে তাকওয়াঃ
বাকারা-১২৩
হাদীসঃ তাকওয়ার সংজ্ঞা
১·আতিয়া আস-সাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন কোন ব্যক্তি পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার আশংকায় যেসব কাজে গুনাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত খোদাভীরু লোকদের শ্রেণীভুক্ত হতে পারেনা। (তিরমিযী ও ইবনে মাযা)
২·হাসার ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসূল (সাঃ) এর জবান মুবারক হতে এ কথা মুখস্থ করে নিয়েছি, যে জিনিস সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেয় তা পরিত্যাগ করে যা সন্দেহের উর্ধ্বে তা গ্রহ কর। কেননা সততাই শান্তির বাহন এবং মিথ্যাচার সন্দেহ সংশয়ের উৎস। (তিরমিযী)

তাকওয়ার হক কি?
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, রবী কাতাদাহ ও হাসান বসরী  (রাঃ) বলেন, তাছাড়া রাসূল (সাঃ) নিজেও বলেছেনঃ তাকওয়ার হক হলো, প্রতিটি কাজে আল্লাহর আনুগত্য করা আনুগত্যের বিপরীত কোন কাজ না করা, আল্লাহকে সার্বক্ষণিক মনের মধ্যে স্মরণ রাখা, কখনও ভুলে না যাওয়া এবং সবসময়ই তার শোকরিয়া আদায় করা এবং অকৃতজ্ঞ না হওয়া। (বাহরে মুহীত)
সুরা হজ্জের শেষ আয়াতে ‘তোমরা আল্লাহর জন্য জিহাদ করো জিহাদের হক আদায় করে।’
আল্লামা সুদী (রঃ) বলেন এর অর্থ এমনভাবে তার আনুগত্য ও বাধ্যতা স্বীকার করতে হবে যেখানে কখনও কোন নাফরমানী ও অবাধ্যতা থাকবেনা। তাকে এমন একনিষ্ঠভাবে স্মরণ করতে হবে যেখানে তাকে ভুলে যাবার কোন অবকাশ থাকবেনা। তার প্রতি এমন আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে যেখানে কোন অকৃতজ্ঞতার প্রশ্ন উঠবেনা। (তাবারী)
অন্যান্য তাফসীরকারকগণ বলেন ইবাদতের ক্ষেত্রে বুঝানো হয়েছে। বস্তুত আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করতে হবে যা আদায়ের ব্যাপারে কোন বিরুদ্ধাচারীর বিরোধীতার দিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবেনা।
তাকওয়ার তিনটি স্তরঃ
১)    সর্বনিম্ন স্তর কুফর বা শিরক থেকে বিরত থাকা
২)    অপছন্দনীয় বিষয় থেকে বিরত থাকা
৩)    সর্বোচ্চ স্তর হাদীস পূর্বে বর্ণিত উদাঃ গরু চরানো আইল পর্যন্ত বৈধ কিন্তু অন্যের জমিতে মুখ দেবে ভয়ে আইন থেকে অনেক দূরে।

হযরত উমর (রাঃ) বলেন- কন্টাকাকীর্ণ রাস্তায় চলাচলের সময় যেমন কাপড় চোপড় গুটিয়ে আটো সাটো হয়ে চলতে হয়। তেমটি দুনিয়ার জীবনে পাপ থেকে বাচবার জন্য একজন মুত্তাকী ব্যক্তিকে সতর্কতার সাথে বেছে বেছে চলতে হয়।
আর মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করোনা “মুসলমান না হয়ে মরার অর্থ হচ্ছে তোমার এমন কোন মুহুর্ত যেন না কাটে যখন তুমি ইসলামে প্রতিষ্ঠিত নও। কেননা তখন যদি মৃতুø আসে তবে, তা হবে ইসলামে বিহীন মৃতুø। (মাযহাবী)

তাকওয়ার স্তরঃ
হযরত উমর (রাঃ) বলেন হারামে জড়িয়ে যাবার ভয়ে আমরা হালাল জিনিসের দশ ভাগের নয় ভাগই পরিত্যাগ করে থাকি।
হযরত জাবের (রাঃ) বলেন আমি রাসূল (সাঃ) এর মৃতুøর তিনদিন আগে তার মুখে বলতে শুনেছিঃ দেখ তোমরা মৃতুøর সময় আল্লাহর প্রতি ভালো ধারনা রাখবে। (মুসলিম) মুসনাদে বাযযার এ রয়েছে রাসূল (সাঃ) এক আনসারী রোগীকে দেখতে গেলেন। সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন অবস্থা কিরুপ। তিনি বললেন আল হামদুলিল্লাহ ভালই আছি। আল্লাহর দয়ায় আশা করছি এবং তার শাস্তির ভয় করছি। রাসূল (সাঃ) বললেন জেনে রেখো এরুপ অবস্থায় যার অন্তরে আশা-ভয় দুটোই থাকে আল্লাহ তার আকাঙ্খার জিনিস প্রদান করেন এবং ভয় থেকে রক্ষা করেন।
রাসূল (সাঃ) দোয়া করতেন। “হে আমাদের দিলকে পরিবর্তকারী, আমাদের দিলসমুহকে তোমার দ্বীনের উপর রাখ।”
“হে আমাদের দিলসমূহকে উলট-পালটকারী, আমাদের দিলসমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দাও।” (মুসলিম)
রাসূল (সাঃ) বলেন “তোমাদের হাশর তেমন হবে যেমন তোমাদের মৃত্যু হবে।”
মুসনাদে আহমাদ
আব্বাস (রাঃ) সাথে ছিলেন। নবী (সাঃ) উক্ত আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন- যদি জাক্কুমের একটি ফোটা পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয় তবে পৃথিবীর যাবতীয় খাদ্যদ্রব্য বিনষ্ট হয়ে যাবে। অতএব তোমরা চিন্তা কর দোযখীদের অবস্থা যাদের পানাহার হবে জাক্কুম। (নূরুল কোঃ মাযহাবী)

★আয়াতঃ ১০৩ঃ
শানে নুযুলঃ
ইবনে কাসীর তাফসীরে ৩টি ঘটনা উল্লেখ করেন-
১·    আউস ও খাযরায় গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে ভ্রাতৃ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। একবার এক ইহুদী আউস ও খাযরাজ গোত্রের সম্মিলিত সমাবেশের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের মহব্বত দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয়। চক্রান্তের জন্য সে একজনকে ঐ সমাবেশে পাঠায় এবং দুই গোত্রের মধ্যে পুরাতন শত্রুতা জগাতে সক্ষম হয়। ফলে হারারা নামক স্থানে দুই গোত্রের প্রায় যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়। রাসূলের উপস্থিতিতে শান্ত হয়।
২·    হুনায়েন যুদ্ধের গনিমতের মাল রাসূল কমবেশি করে বন্টন করছিলেন। তা দেখে কেউ একজন কটুক্তি করে। ফলে রাসূল (সাঃ) একটি ভাষণ দেন- “হে আনসার দল, তোমরা কি পথভ্রষ্ট ছিলেনা অতপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে সুপথে এনেছেন ----------
৩·    হযরত ইকরামা (রাঃ) বলেন হযরত আয়েশা (রাঃ) কে যখন মুনাফিকরা মিথ্যা দোষারোপ করছিল এবং আল্লাহ এ প্রেক্ষিতে আয়াত নাযিল করলেন তখন মুসলমানেরা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে পড়ছিল তখন এ আয়াত নাযিল হয়।
আয়াতে পারস্পরিক ঐক্যের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে-
পরস্পর ঐক্যের বন্ধন
বিচ্ছিন্ন না হওয়া
আল্লাহর রজ্জু অর্থ-
দ্বীন ইসলাম , আল্লাহর কিতাব
হযরত যায়েদ ইবনে আরকামের বর্ণনায় “আল্লাহর রজ্জু হলো কুরআন।” (ইবনে কাসীর)
হাদীসে এসেছে
“আল্লাহর কিতাব আকাশ হতে যমীন পর্যন্ত প্রলম্বিত এক রজ্জু।”
ইসলামী ঐক্য ‘হাবলুল্লাহ’। জাতি, বর্ণ, গোত্র ভিত্তি নয়।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন ৩টি কাজে আল্লাহ খুশি হন ৩টি কাজে বেজার হন 

তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর। তার সাথে কিছু শরীক করোনা।
আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধর পরস্পর দলাদলি করোনা।
মুসলমানদে রাষ্ট্র নায়কদের কল্যাণ কামনা কর ও সহযোগীতা কর।
বেজার হন যে তিনটি কাজে
বাজে ও অনর্থক কথা বলা
বেশী বেশী প্রশ্ন করা
সম্পদ ধ্বংস করা। 
(সহীহ মুসলিম, ইবনে কাসীর)
জামায়াতী জিন্দেগীঃ
আল ইমরান-১০১ সত্য পথের জন্য ছফ-৪
আয়াতে এরপর দুটি নেয়ামতের কথা বলা হয়েছেঃ
প্রথম নেয়ামতঃ
ভাতৃত্ব। একে অপরের দুশমন ছিল।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন- “তিনিই সেই আল্লাহ যিনি নিজ মদদে এবং মুমিনদের সাহায্য দ্বারা তোমাকে শক্তিশালী করেছেন এবং তাদের অন্তরে প্রেম প্রীতি পয়দা করে দিয়েছেন। (আনফাল ৬১-৬২)

দৃষ্টান্ত মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত। আনছারদের ত্যাগ।
আউস ও খাযরাজ গোত্র শুধু ইসলামের কারণে বিরোধ নিষ্পত্তি
ইয়ারমুকের যুদ্ধে পানি পানের ঘটনা

দ্বিতীয় অনুগ্রহঃ
“হে মুমিনগন, তোমরা একেবারে অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। সেখান থেকে আল্লাহ তোমাদের উদ্ধার করেছেন।”
মুফাসসিরগণ এর দু’রকম অর্থ করেছেন
একঃ শত্রুতা ও হানাহানির আগুনে ভরা গভীর খাদের কিনারায়। আউস ও খাযরাজ গোত্র (সাইয়েদ কুতুব শহীদ)
দুইঃ তোমরা দোযখের আগুনের ধারে পৌছে গিয়েছিলে এবং তোমাদের কুফরী তোমাদের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দি। সেখান থেকে বাচা। (ইবনে কাসীর)

★আয়াতঃ ১০৪ঃ
তোমাদের মধ্যে এমন একটি ----- তারাই সফলকাম।
হযরত যাহ্‌হাক- এই দল হতে ভাবার্থ হচ্ছে বিশিষ্ট সাহারা (রাঃ) ও বিশিষ্ট হাদীস বর্ণনাকারীগণ অর্থাৎ মুজাহিদ ও আলেমগন। (ইবনে কাসীর
রাসূল (সাঃ) তেলাওয়াত করে বলেছিলেন এ সম্প্রদায় হলো বিশেষ করে সাহাবা কেরামের দল (ইবনে কাসীর)
এখন সাহাবাদের অনুসারীরাই, সেই দল। কারন কোরআনের নির্দেশ সার্বজনীন।
এই সুরার ১১০ নং আয়াত, সুরা আছর
সত্যনিষ্ঠ দলের কাজঃ 
প্রথম কাজঃ মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকা। দাওয়াতের এ কাজ সার্বজনীন। দাওয়াত দিতে হবে চরিত্র ও কর্মের মাধ্যমে (কথা ও কাজে মিল)
কল্যাণ বা সৎকাজ কি? কোরআন ও হাদীস দ্বারা যা বৈধ তা। যেমনঃ মদ পান হারাম কিন্তু বাইরের দেশ (আমেরিকা) মদপান অপরাধ নয়।
দ্বিতীয় কাজঃ অসৎ কাজে বাধা প্রদান।
নিষেধ নয় বাধা।
বাধা দানের তিনটি পর্যায়-
হাদীসঃ রাসূল (সাঃ) বলেন হে ঈমানদারগণ তোমাদের কেউ যখন কোন অন্যায় ও অপরাধ হতে দেখবে তখন হাত ---- কথা --- অন্তর
অসৎ কাজে বাধা না দেবার পরিণামঃ

রাসূল (সাঃ) বলেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ তোমরা সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে কারণ করতে থাক। নতুবা আল্লাহ অতিসত্ত্বরই তোমাদের উপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। অতঃপর তোমরা (তা থেকে বাচার জন্য) দোয়া করবে কিন্তু তা কবুল করা হবেনা। (আবুদাউদ)
দাওয়াতের এ কাজ সার্বজনীনঃ
নবী রাসূলের মিশন দাওয়ান।

★আয়াত-১০৫ঃ
আল্লাহর ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটা বড় বিপদ হলো অনৈক্য ও দলাদলির বিপদ। ভাষাগত ও জাতিগত পার্থক্য, কিংবা কোন পুরনো দ্বন্দ্ব বা শাসন বিষয়ক সমস্যা নিয়ে এইসব অনৈক্য ও দলাদলি শুরু হয়। এর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম, আল্লাহ মুমিনদেরকে ঐক্যবদ্ধ ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বলেছেন এবং মুমিনদেরকে একে অপরের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। তাই আল্লাহর ধর্মের অনুসারীরা তথা মুমিন মুসলমানরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই থাকুক না কেন তাদের মধ্যে এক ধরনের আন্তরিক বন্ধন সৃষ্টি হয়। কোন ভৌগোলিক সীমারেখা বা জাতিয়তার দেয়াল তাদের এই আত্মিক বন্ধনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না। এমনকি সময় বা যুগের ব্যবধানও অতীতের একত্ববাদীদেরকে ভবিষ্যতের একত্ববাদী থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। এজন্যেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগে বলেছেন, 'যারা আগামীতে আসবেন তারা আমার ভাই। তাঁরা আমাকে দেখেননি, কিন্তু আমার ওপর ঈমান এনেছে। তাঁরাই আমার প্রকৃত ভাই।' সত্যিই, এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস সবচেয়ে দৃঢ় ও স্থায়ী ঐক্যের মাধ্যম। এই বিশ্বাস অতীতের একত্ববাদী ও বর্তমান যুগের একত্ববাদী এবং বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে সহমর্মিতার মাধ্যম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দুনিয়ার স্বার্থ বা রাজনৈতিক প্রলোভনের কারণে মুমিনদের মধ্যেও কোন কোন সময় প্রচণ্ড যুদ্ধ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এমনকি ধর্মের শত্রুদের বিরুদ্ধেও বিশ্বাসীদেরকে এত ভয়াবহ যুদ্ধে জড়াতে হয়নি। এ আয়াতে মুমিনদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হচ্ছে, আত্মকলহ ও দ্বন্দ্বের পরিণামে ইহকাল ও পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

★আয়াত-১০৬-১০৭
পৃথিবীতে আমাদের ভালো ও মন্দ যে কোন কাজের গভীর ও অগভীর দু'টি দিক রয়েছে। বাহ্যিক বা অগভীর দিক হলো,যা আমরা দেখছি ও শুনছি। আর অন্তর্নিহিত বা গভীর দিক হলো,যা আমাদের আত্মা এবং মন মানসিকতায় প্রভাব ফেলে। ইহকাল হলো প্রকাশের জগত,অন্যদিকে পুনরুত্থান বা পরকাল হলো, অন্তর্নিহিত জগত। কারণ, বাহ্যিক কাজগুলো ইহকালে তথা পৃথিবীতে দেখা যায়। আর এসব কাজের অন্তর্নিহিত দিক পরকালে স্পষ্ট হবে। তাই পরকালে মানুষের কাজ অনুযায়ী তাদের চরিত্রের গোপন দিক ও আসল চেহারা ফুটে উঠবে। এই আয়াতে কিয়ামতের দিন মানুষের চেহারা উজ্জল ও অন্ধকার হবার কথা বলা হয়েছে যা মানুষের অন্তর্নিহিত চরিত্র প্রকাশ করবে। দুনিয়াতে অবিশ্বাস ও সত্য গোপনের জন্য পরকালে মানুষের চেহারা ও চরিত্র থেকে ঈমানের নূর দূর হবে এবং চরিত্রের গোপন নোংরা দিকগুলো স্পষ্ট হবে। নিঃসন্দেহে অন্যদের সামনে কালো চেহারা ফুটে ওঠা এবং নোংরা চরিত্র স্পষ্ট হওয়ার চেয়ে কঠিন শাস্তি আর কিছুই হতে পারে না। অন্যদিকে কিয়ামতের দিন মুমিনদের উজ্জ্বল চেহারা প্রকাশের মাধ্যমে তাদের সুন্দর ও পবিত্র চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে এবং আল্লাহর অসীম রহমত পেয়ে তারা ধন্য হবে।

★আয়াত-১০৮ঃ
এই দুই আয়াতে রাসুলে খোদা ও মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য করে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতির কথা বলা হয়েছে। আর তা হলো ন্যায়বিচার। ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে আল্লাহ পাক মানুষের উপর সাধ্যাতীত কোন বিধান চাপিয়ে দেন না কিংবা পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে কোন জুলুম করেন না। কেয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে একদল থাকবে হাসি খুশি ও উৎফুল্ল। আর অন্য একদলকে দেখা যাবে খুবই বিষন্ন চেহারায়। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, আল্লাহ এ রকম চেয়েছিলেন কিংবা বাধ্যবাধকতার চাপে এমনটি হয়েছে। বরং সবই হচ্ছে পৃথিবীতে মানুষের কৃতকর্মের ফসল। পরকালে কেউ যদি দোযখে যায় তার অর্থ এটা নয় যে, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন। বরং মানুষ নিজেরাই তাদের খারাপ কাজের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দোজখের আগুন তৈরি করে। মূলত: অন্যের প্রতি জুলুম বা অন্যায়ের কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা, অক্ষমতা, প্রয়োজন কিংবা শক্তিপ্রদর্শন বা প্রতিশোধ স্পৃহা। কিন্তু যে আল্লাহপাক সমস্ত বিশ্ব জাহানের মালিক এবং সব প্রয়োজন ও ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে। তাঁর কী প্রয়োজন অন্যের ওপর জুলুম করার বা প্রতিশোধ নেয়ার কিংবা শক্তি দেখানোর? তিনি নিজেই যেখানে আমাদেরকে জুলুম অত্যাচার থেকে বিরত থাকতে বলেন, তিনি কীভাবে তার বান্দাদের প্রতি জুলুম করবেন? আল্লাহপাক নিজেই যেখানে দয়া ও রহমতের উৎস, তিনি কীভাবে নিজ সৃষ্টির ওপর অত্যাচার করবেন?

#শিক্ষণীয়_দিকঃ

★আল্লাহকে ভয় করার মত ভয় করতে হবে এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করা যাবে না।
★দ্বীনের পথে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না , পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করতে হবে।
★অজ্ঞতাই অধিকাংশ মতবিরোধের কারণ। অবশ্য অনেকে সত্যকে জানা সত্ত্বেও নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য সত্যের বিরোধিতা করে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।
★পূর্ববর্তীদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। যেসব জাতি মতভেদ ও দলাদলিতে লিপ্ত হয়েছিল তারা কি সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছিল? নাকি পারস্পরিক ঐক্য ও সহমর্মিতার অধিকারী জাতিগুলোই সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছিল?
★যদি আমরা ইহকালে সত্যপন্থী ও মজলুম চেহারার মাধ্যমে অন্যদের বিশ্বাসভাজন হতে পারি তাহলে কেয়ামতের দিনও আমাদের চেহারা হবে নূরানী।
★বর্তমানে ঈমানদার হবার কারণে আমরা যেন অহংকারী হয়ে না পড়ি। কারণ মুমিনরাও যে কোন মুহূর্তে কুফুরির বিপদে আক্রান্ত হতে পারে।
★আমরা যে আল্লাহয় বিশ্বাসী, তিনি তার সৃষ্টি, নিয়ম-কানুন নির্ধারণ, শাস্তি ও পুরস্কারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারক।


মোহাম্মদ আবু হানিফ হেলাল 

-আহবায়ক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, ফেনী জেলা।

No comments

Powered by Blogger.